CA Plan

What is CA Plan and how to take CA Plan


CA(Corrective Action) প্ল্যান বা কার্রেক্টিভ অ্যাকশন প্ল্যান একটি ইম্পরট্যান্ট টুল, ISO সার্টিফিকেশন বা ISO সার্টিফাইড কোম্পানির জন্য। এই পোস্ট এ আমরা জানবো কিভাবে CA প্ল্যান বা কেন এইটা নিতে হয় ?

ISO সার্টিফিকেশন এর অন্যতম একটি মূল নীতি হলো ক্রমান্বয়ে ডেভেলপমেন্ট বা উন্নতি সাধন করা। তাই নিয়মিত বিশেষ করে অডিট এর পরে যদি কোনো ত্রুটি বা ননকন্ফর্মিটি আসে তাহলে CA প্ল্যান এর মাধ্যমে এই ভুল কারেক্ট করা হয় এবং একই ধরণের ভুল যাতে বারবার না হয় তারজন্য পদ্ধক্ষেপ নিতে হয়।

বিভিন্ন ভাবে C A প্ল্যান নেয়া যায়। যাদের মধ্যে ৫ WHY এনালাইসিস টুল হলো অন্যতম। এই পদ্ধতিতে সর্বোচ ৫টি প্রশ্ন করে ওই ভুল বা ত্রুটির মূল কারণ খোঁজা হয়। প্রতিটি প্রশ্ন অবশ্যই WHY দিয়ে শুরু করতে হয়। সর্বোচ ৫টি প্রশ্ন থাকলেও সমস্যা ভেদে এটির উত্তর তিনটি বা দুটিতে হয়ে যেতে পারে। যাইহোক মূল কারণ বের করার পর ব্যাবস্থা নিতে হয় যাতে ওই একই সমস্যা পুনরায় আর দেখা না যায়। এই ব্যবস্থা কে বলা হয় C A প্ল্যান বা CORRECTIVE ACTION PLAN |

সাধারাত অডিটের পর এই কে প্ল্যান নেয়া হয় এন্ড দ্বিতীয় অডিটের সময় এর এফেক্টিভনেস পরীক্ষা করে অডিটর তা CLOSE করে থাকেন। তবে মেজর NC এর ক্ষেত্রে তা পরবর্তী অডিটের আগেই ক্লোস করতে হয়, অন্যথায় সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাতে পারে|

এইভাবে ক্রমাগতভাবে ভুল বা ত্রুটির পর CA প্ল্যান এর মাধ্যমে একটি কোম্পানি তার কন্টিনুয়াস ডেভেলপমেন্ট এর প্রমান দেখাতে পারে।

CA প্ল্যান সমন্ধে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্টস বক্সে লিখবেন |


HOW TO DO ISO INTERNAL AUDIT

ISO Internal Audit Stages

ISO ইন্টারনাল অডিট
ISO সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যে কয়টি ডকুমেন্টস ম্যান্ডেটরি তারমধ্যে ইন্টারনাল অডিট একটি।
এই পোস্ট থেকে আমরা জানব কিভাবে ইন্টারনাল অডিট করতে হয়? ISO সকল ডকুমেন্টস তৈরি হবার পর বিভিন্ন সেকশন এ তা শেয়ার ও ইমপ্লিমেন্ট করতে হয় । তাই আপনার প্রতিষ্টান যখন ডকুমেন্টস তৈরি শেষ করে ইমপ্লিমেন্টেশন স্টেজ এ যাবে তখনি ইন্টারনাল অডিট করতে পারেন।

ইন্টারনাল অডিট এর স্টেজ গুলুকে নিম্ন লিখিত ভাবে ভাগ করা যায়:
১| টীম সিলেকশন
২| অডিট প্ল্যান তৈরি করা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে তা শেয়ার করা
৩| অডিট এর দিন অডিট করা

অডিট করার দিন নিচের স্টেজ গুলু ফলো করতে হয়:
১| ওপেনিং মিটিং করা
২| Onsite এ যাওয়া
৩| ক্লোসিং মিটিং করা

এরপর ২-১ দিন সময় নিয়ে টীম লিডার অডিট রিপোর্ট তৈরি করবেন ও ম্যানেজমেন্ট রিভিউ মিটিং এ তা নিয়ে আলোচনা করবেন |

অডিট রিপোর্ট এ কোনো NC (NONCONFORMITY) আসলে তার জন্য CA প্ল্যান নিতে হবে যাতে আবার ওই একই সমস্যা দেখা না যায়। আর এভাবে ইন্টারনাল অডিট একটি কোম্পানির সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

এই পোস্ট সমন্ধে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে নিচে অবশই কমেন্ট করে জানাবেন |

কোয়ালিটি অবজেক্টিভ

কোয়ালিটি অবজেক্টিভ কিভাবে সেট করতে হয়?

ISO সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য ম্যান্ডেটরি ডকুমেন্টস গুলির একটি হলো কোয়ালিটি অবজেক্টিভ সেট করা। এই অবজেক্টিভ সেট করার আগে ভাবতে হবে গত বছরগুলোতে আপনার কোম্পানি বা ফ্যাক্টরিতে কি কি সমস্যা ছিল ওই সমস্যা গুলিকে কোয়ালিটি অবজেক্টিভ এ নিয়ে আসতে হবে।

এই অবজেক্টিভ সেট করার সময় স্মার্ট এপ্রোচ এর ব্যবহার করতে হবে। এটা অবশ্যই বাস্তব এর সাথে মিল রেখে করতে হবে। অর্থাৎ আপনার কোম্পানিতে আসলেই যে যে প্রব্লেম গুলু হচ্ছে তা আপনি কিভাবে সমাধান করছেন তার সাথে মিল রেখে এই অবজেক্টিভ সেট করতে হবে। তাহলে আপনি বা আপনার প্রতিষ্টানে যারা কাজ করছেন তারাও উৎসাহী হবে কাজ করার জন্য।

কাল্পনিক বা অনুমান ভিত্তিক কোনো অবজেক্টিভ সেট করার দরকার নাই। শুধু সনদ পাওয়ার জন্য বা অডিটর কে দেখানোর জন্য এইগুলা করলে আপনার প্রতিষ্টানের কোনো লাভ হবে না । এতে করে আপনার সময় নষ্ট হবে ও এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস কে বোঝা বলে মনে হবে।

কোনো কোম্পানি যদি এই ম্যান্ডেটরি ISO ডকুমেন্টস ঠিকমতো সেট করতে পারে তাহলে তার কোম্পানির সমস্যা গুলি সুন্দরভাবে সমাধান করা যাবে। ফলে ISO সার্টিফিকেট থেকে সে বেশি লাভবান হবে।

আপনার কোম্পানি যদি ছোট হয় তাহলে কোম্পানির জন্য একক অবজেক্টিভ সেট করতে পারেন আর যদি কোম্পানি বড় হয় তাহলে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী তা সেট করতে পারেন।

আবার শুধু অবজেক্টিভ সেট করলেই হবে না। অবজেক্টিভ অর্জন করার জন্য প্ল্যানিং গুলু ও লিখিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। আবার নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর কতটুকু অর্জন হলো তা মূল্যায়ণ করে দেখতে হবে।

সাধারণত বছরের শেষে এই অবজেক্টিভ গুলু মূল্যায়ণ করা হয়ে থাকে। একটি অর্জন হলে অন্য সময় এর জন্য নতুন নতুন অবজেক্টিভ সেট করতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে সব সমস্যা গুলু সমাধান করে একটি কোম্পানি তার লক্ষ অর্জন করতে সমর্থ হবে। ISO 9001 সার্টিফিকেট এভাবে একটি কোম্পানিকে তার লক্ষ অর্জেন সহায়তা করে থাকে।

ISO সনদ ও গভর্নমেন্ট প্রজেক্ট

ISO সনদ বাংলাদেশী প্রজেক্ট গুলুকে কিভাবে সাহায্য করতে পারে ?


সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন প্রজেক্ট এ কাজ করার জন্য প্রিন্সিপাল কোম্পানি ও তাদের সাব কন্ট্রাক্টরদের একটা শর্ত থাকে আর সেটা হলো কোম্পানি গুলুর ISO সনদ থাকতে হবে। সাধারণত প্রজেক্ট এ যারা কাজ করে তাদেরকে ISO ৯০০১ , ১৪০০১ ও ৪৫০০১ এই স্ট্যান্ডার্ড গুলুর উপর সনদ নিতে বলা হয়।

গভর্নমেন্ট এর সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও অধিদপ্তর গুলুর টেন্ডার এর প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী ওই কোম্পানি গুলু ISO সনদ নিয়ে থাকে কাজ পাওয়ার জন্য এতে শুধু শর্ত পূরণ হয় কিন্তু ISO সনদ নেয়ার যে উদ্দেশ্য তা কতটুকু অর্জিত হয় তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

ISO 9001 এর অন্যান্য নির্দেশনাগুলুর মধ্যে মান নিয়ন্ত্রণ করে সময় মতো প্রজেক্ট ডেলিভারি দেয়া অন্যতম দুইটি উদ্দেশ্য। প্রজেক্ট এ কর্মরত শ্রমিকদের ও পথচারীদের মধ্যে দুর্ঘটনা কমানো ISO 45001 স্ট্যান্ডার্ড এর প্রধান উদ্দশ্য। পরিবেশ এর অন্যান্য উপাদান গুলুর মধ্যে বাতাস, পানি, মাটি, গাছ পালা, আশেপাশের মানুষ পশু পাখি যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তারজন্য ISO 14001 স্ট্যান্ডার্ড নিতে বলা হয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ এর এইসব প্রজেক্ট এ কাজ করার সময় অনেক দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত দু:খজনক ও অমানবিক। দুর্ঘটনা কমানোর জন্য ISO ৪৫০০১ স্ট্যান্ডার্ড এর নির্দশনাগুলি মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

ISO সনদ প্রাপ্ত ঐসব কোম্পানি গুলু নিয়মিত এক্সটার্নাল অডিট ও ইন্টারনাল অডিট এ অংশ গ্রহণ করে থাকে। প্রতি ৬ মাস অন্তর তাদের ইন্টারনাল অডিট ও বছরে একবার CB অডিট রিপোর্ট চেক করা ও ঐসব অডিট রিপোর্ট এ যেসব ফাইন্ডিং আসে সেইগুলুর উপর কোম্পানি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা প্রজেক্ট কর্ম কর্তাদের তা চেক করার প্রয়োজন আছে।

নিয়মিত অডিট এ অংশগ্রহণ করলে কোম্পানির ভিতরে যেসব ভুল ত্রুটি থাকে তা সংশোধন করার তাগিদ রয়েছে ISO স্ট্যান্ডার্ড গুলু তে। তাই ISO স্ট্যান্ডার্ড গুলুর নিয়ম নীতি ও নির্দেশনা ঠিকমতো ইমপ্লিমেন্ট করলে তা কোম্পানির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে।

ISO সনদ প্রাপ্ত কোম্পানি গুলুর মধ্যে একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় যে তারা অডিট এ অংশ গ্রহণ করতে চায় না বা অডিট এ অংশ গ্রহণ করলেও অডিট ফাইন্ডিংস গুলুর উপর ঠিকমত কার্রেক্টিভ অ্যাকশন নেয় না, ফলে একই ধরণের ভুল বা দুর্ঘটনা বার বার হতে থাকে।

সনদ প্রাপ্ত এইসব কোম্পানি গুলুকে সঠিক পথে রাখার জন্য সার্টিফিকেশন বডি এবং প্রজেক্ট কর্মকর্তাদের নিয়মিত অডিট রিপোর্ট ও CA প্ল্যান চেক করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের সার্টিফিকেট সাসপেন্ড করে তাদেরকে বাধ্য করতে হবে ISO স্ট্যান্ডার্ড এর নিয়ম নীতি মানার জন্য।

ISO স্ট্যান্ডার্ড গুলু প্রণয়ন করা হয় কোম্পানি, দেশ ও জাতির উন্নয়ন এর জন্য। আর এই স্ট্যান্ডার্ড গুলুর নির্দেশনাগুলো সঠিক ভাবে মানতে ও মানাতে পারলেই ISO Standard এর সুফল পাওয়া যাবে। এই ব্যাপারে কোম্পানি, সার্টিফিকেশন বডি, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা গুলু কে একসাথে কাজ করতে হবে। এক সাথে কাজ করতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট গুলু কোয়ালিটি মেইনটেইন করে কোনো রকম দুর্ঘটনা ছাড়াই ও পরিবেশের কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই সময় মতো কোয়ালিটি প্রজেক্ট উপহার দেয়া সম্ভব। এতে করে জনগণের দুর্ভোগ ও অর্থের অপচয় রোধ করা যেতে পারে।

সার কথা: প্রজেক্ট কর্ম কর্তাদের উচিৎ ISO সনদের সাথে ISO অডিট রিপোর্ট এর কপি জমা নেয়া। রিপোর্ট এ যেসব NC (Nonconformity) থাকে সেগুলোর উপর কোম্পানি কি কাজ করছে তা চেক করা বা CA প্ল্যান চেক করা।

বাংলাদেশে কিভাবে ISO সার্টিফিকেট পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে কিভাবে ISO সার্টিফিকেট পাওয়া যায় এই পোস্ট আপনাকে তা জানতে সাহায্য করবে

ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর জন্য ম্যান্ডেটরি ডকুমেন্টস গুলো হলো: ১- স্কোপ, ২- পলিসি, ৩- অবজেক্টিভ, ৪-প্ল্যানিং, ৫- ভেন্ডর সিলেকশন এন্ড এভালুয়েশন প্রসিডিউর, ৬-প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রিলেটেড প্রসেস ইনফরমেশন ইত্যাদি।

বাংলাদেশ ISO CERTIFICATE পাওয়া এখন অনেক সহজ । বিশেষ করে ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (৯০০১, ১৪০০১, ৪৫০০১ ) এর উপর ISO সনদ পেতে খুব বেগ পেতে হয় না। ISO STANDARD এর আগের ভার্সন গুলুতে যেমন অনেক ডকুমেন্টস তৈয়ার করতে হতো ISO CERTIFICATE পাওয়ার জন্য এখন আর তেমন অনেক ডকুমেন্ট দরকার হয় না।

ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর জন্য ম্যান্ডেটরি রেকর্ডস গুলো হলো: ১-ইকুইপমেন্ট/ডিভাইস ক্যালিব্রেশন রেকর্ড, ২- ট্রেনিং রেকর্ড, ৩- প্রোডাক্ট এন্ড সার্ভিস রিলেটেড ১০ টি রেকর্ডস, ৪- এনসি রেকর্ড, ৫- সিএ প্ল্যান রেকর্ড, ৬-ইন্টারনাল অডিট রেকর্ড, ৭- MRM রেকর্ড ইত্যাদি।

উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলো তৈয়ার করতে আপনি একজন ISO CONSULTANT নিয়োগ করতে পারেন অথবা ডকুমেন্টস গুলু অনলাইন থেকে কিনতে পারেন । যারা ছোট কোম্পানি তাদের জন্য ISO CONSULTANT নিয়োগ করা একটু ব্যয়সাধ্য হতে পারে তাই তাদের জন্য সবচাইতে ভালো উপায় হলো অনলাইন থেকে ISO ডকুমেন্টস গুলো কিনে নেয়া এরজন্য আপনি ভিজিট করতে পারেন এই লিংক এ।

ডকুমেন্টস বা রেকর্ড এর ফরমেট গুলু তৈয়ার হয়ে গেলে আপনি গুগল থেকে সার্চ করে নিতে পারেন একটি সার্টিফিকেশন বডি বা সার্টিফিকেশন কোম্পানি। AAS অন্যান্য সার্টিফিকেশন কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি CERTIFICATION BODY । এরা একবছর ও তিন বছর উভয় মেয়াদ এর জন্য ISO CERTIFICATE দিয়ে থাকে। এরা অত্যন্ত কম দামে এবং কম সময়ে এক্ক্রেডিটেড সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে । AAS এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনি এই লিংকে ক্লিক করে ঠিকানা জেনে নিতে পারেন ।

এই পোস্ট এর ব্যাপারে আপনাদের কোনো মতামত বা জিজ্ঞাসা থাকলে অবশই নিচে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।